إعدادات العرض
1- এক ব্যক্তি এক মহিলাকে চুম্বন করে ফেলল। পরে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বিষয়টি অবগত করালো। তখন আল্লাহ তা‘আলা আয়াত নাযিল করেন: “আর আপনি সালাত কায়েম করুন দিবসের দু’প্রান্তে এবং রাতের প্রথম অংশে। নিশ্চয় ভালো কাজ মন্দ কাজকে মিটিয়ে দেয়।” (সূরা হূদ, আয়াত: ১১৪)
2- এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, “হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ তথা শরী‘আত নির্ধারিত শাস্তি পাওয়ার যোগ্য কাজ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আমার ওপর তা প্রয়োগ করুন।
3- আমাদেরকে দুনিয়ার জীবনে যা দেওয়ার সবই দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমরা আশংকা করছি যে, আমাদের সৎকর্মগুলো (বিনিময়) আগেই (এ দুনিয়াতে) দিয়ে দেওয়া হয় নি তো?
4- হে হাকীম, এই সম্পদ শ্যামল সুস্বাদু। যে ব্যক্তি প্রশস্ত অন্তরে (লোভ ছাড়া) তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় হয়। আর যে ব্যক্তি অন্তরের লোভসহ তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় করা হয় না। যেন সে এমন ব্যক্তির মত, যে খায় কিন্তু তার ক্ষুধা মিটে না। আর উপরের হাত নিচের হাত থেকে উত্তম।
5- আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়েছিলাম, তখন আশ্চর্য হয়ে দেখলাম, যারা তাতে প্রবেশ করেছেন তাদের অধিকাংশই হলো দরিদ্র জনগণ। আর যারা ধনী তারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আছে।
6- “আমার বিশ্বাস তোমরা শুনেছ, আবূ উবাইদাহ বাহরাইন থেকে কোনো কিছু নিয়ে এসেছেন।”
7- হে আল্লাহ! আখিরাতের জীবন ছাড়া আর কোনো জীবন নয়
8- নিশ্চয় আল্লাহর যিকির এবং তাঁর সাথে সংশ্লিষ্ট সহায়ক অপরাপর আমল, আলিম এবং তালিবে ইলম ছাড়া দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে সব-ই অভিশপ্ত।
9- এ ব্যক্তি দুনিয়া ভর্তি ঐরূপ লোকের চেয়ে অনেক উত্তম।
10- যদি মুমিন জানত যে, আল্লাহর নিকট কী শাস্তি রয়েছে, তাহলে কেউ তার জান্নাতের আশা করত না। আর যদি কাফের জানত যে, আল্লাহর নিকট কী করুণা রয়েছে, তাহলে কেউ তার জান্নাত থেকে নিরাশ হত না।
11- আল্লাহর কসম, আল্লাহর নিকট দুনিয়া তোমাদের কাছে এটার চেয়েও বেশী মূল্যহীন।
12- যে ব্যক্তি আমাকে এ নিশ্চয়তা দিবে যে, সে মানুষের কাছে কোনো কিছু চাইবে না, আমি তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিব।
13- যে ব্যক্তি আল্লাহকে রব বলে, ইসলামকে দীন হিসেবে ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী রূপে মেনে নিলো, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে গেল।
14- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম আমাদের নিকট দিয়ে গেলেন, তখন আমরা আমাদের একটি কুঁড়েঘর মেরামত করছিলাম।
15- যখন আমাকে মি‘রাজে নিয়ে যাওয়া হলো, সে সময় এমন ধরনের কিছু মানুষের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম, যাদের নখ ছিল তামার, তা দিয়ে তারা নিজেদের মুখমণ্ডল খামচে ক্ষত-বিক্ষত করছিল। আমি, প্রশ্ন করলাম, ওরা কারা? হে জিবরীল! তিনি বললেন, ওরা সেই লোক, যারা মানুষের মাংস ভক্ষণ করত ও তাদের সম্ভ্রম লুটে বেড়াত।
16- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি সারা দিন ক্ষুধায় ঝুঁকে থাকতেন, কিন্তু পেট ভরার জন্য নিম্নমানের খেজুরও পেতেন না।’
17- কিয়ামতের দিন জাহান্নামীদের মধ্য থেকে এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হবে, যে দুনিয়াতে সবচেয়ে সুখী ও বিলাসী ছিল। অতঃপর তাকে জাহান্নামে একবার চুবানো হবে, তারপর তাকে বলা হবে, হে আদম সন্তান! তুমি কি কখনো ভালো জিনিস দেখেছ? তোমার নিকটে কি কখনো সুখ-সামগ্রী এসেছে? সে বলবে, না। আল্লাহর কসম! হে রব! আর জান্নাতীদের মধ্য থেকে এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হবে, যে দুনিয়ার সবচেয়ে দুঃখী ও অভাবী ছিল। তাকে জান্নাতে চুবানোর পর বলা হবে, হে আদম সন্তান! তুমি কি দুনিয়াতে কখনো কষ্ট দেখছ? তোমার ওপর কি কখনো বিপদ গেছে? সে বলবে, না। আল্লাহর কসম! হে আমার রব!
18- মদিনাতে কিছু লোক এমন আছে যে, তোমরা যত সফর করছ এবং যে কোন উপত্যকা অতিক্রম করছ, তারা তোমাদের সঙ্গে রয়েছে। অসুস্থতা তাদেরকে মদিনায় আটকে রেখেছে।
19- মানুষ পেট থেকে অধিক নিকৃষ্ট কোনো পাত্র পূর্ণ করে না। মেরুদণ্ড সোজা রাখতে পারে এমন কয়েক গ্রাস খাবারই আদম সন্তানের জন্য যথেষ্ট। তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন হলে পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে।
20- আমার নিকট জান্নাত ও জাহান্নাম পেশ করা হলো। ফলে আমি আজকের মত ভাল ও মন্দ (একত্রে) কোনো দিনই দেখি নি। যদি তোমরা তা জানতে, যা আমি জানি, তাহলে কম হাসতে আর বেশি কাঁদতে।
21- যদি আদম সন্তানের সোনার একটি উপত্যকা হয়, তবুও সে চাইবে যে, তার কাছে দু’টি উপত্যকা হোক। (কবরের) মাটিই একমাত্র তার মুখ পূর্ণ করতে পারবে। আর যে তাওবা করে, আল্লাহ তাওবা গ্রহণ করেন।
22- আল্লাহ তা‘আলা আমার নিকট অহী পাঠালেন যে, তোমরা পরষ্পর বিনয়ী হও, যেন কেউ কারো ওপর সীমালঙ্ঘন না করে এবং কেউ কারো ওপর অহঙ্কার না করে।
23- তার কিছু্ বাকী নেই? অর্থাৎ বকরির। তিনি বললেন, কাঁধ ছাড়া কিছু্ই বাকী নেই, তিনি বললেন, সবই বাকী আছে, কাঁধ ছাড়া।
24- সে ব্যক্তি সফলকাম যে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং তাকে পরিমিত রুযী দেওয়া হয়েছে আর আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তাতে তাকে তুষ্ট করেছেন।
25- তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ভোর করেছে এমতাবস্থায় যে সে তার গৃহ-পরিবারে নিরাপদে আছে, দেহে সুস্থতা রয়েছে আর তার কাছে সে দিনের খাবারও রয়েছে, তাহলে তার জন্য যেন গোটা দুনিয়াই একত্র করা হলো।
26- তিন শ্রেণির লোকদের সাথে আল্লাহ তা‘আলা [কিয়ামতের দিন] কথা বলবেন না, তাদেরকে [গুনাহ মাফের মাধ্যমে] পবিত্র করবেন না, বরং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। তারা হচ্ছে, বৃদ্ধ জিনাকারী, অহংকারী গরীব, আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে তার ব্যবসায়ী পণ্য বানিয়েছে অর্থাৎ কসম করা ব্যতীত সে পণ্য ক্রয় করে না, কসম করা ব্যতীত পণ্য বিক্রয়ও করে না।
27- আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর একজন ক্রীতদাস ছিল, চুক্তি অনুযায়ী সে তার কাছে ধার্যকৃত কর আদায় করত। আর আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার সেই আদায়কৃত অর্থ ভক্ষণ করতেন।
28- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ‘আদবা’ নামক একটি উষ্ট্রী ছিল। কোনো উষ্ট্রী তার আগে যেতে পারতো না।
29- আল্লাহ যখন কোনো জাতিকে শাস্তি দিতে চান, তখন শাস্তি তাদেরকেও স্পর্শ করে যারা তাদের ভেতর থাকে (অথচ তাদের মতাবলম্বী নয়)। অতঃপর তাদের সবাইকে আমল হিসেবে উত্থিত করা হবে।
30- তোমরা জমি-জায়গা, বাড়ি-বাগান ও শিল্প-ব্যবসায়ে বিভোর হয়ে পড়ো না। তাহলে তোমরা দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে।
31- একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকটি রেখা টানলেন এবং বললেন, এটা মানুষ আর এটা তার আয়ু। মানুষ যখন এ অবস্থায় থাকে হঠাৎ নিকটবর্তী রেখা (মৃত্যু) এসে যায়।
32- “(শামের) সাইহান ও জাইহান, (ইরাকের) ফুরাত এবং (মিসরের) নীল প্রত্যেকটি নদীই জান্নাতের নদী।
33- জান্নাত ও জাহান্নাম বিতর্ক করল। জাহান্নাম বলল, আমাকে অহংকারী ও প্রতাপশালীদের দ্বারা প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর জান্নাত বলল, আমার কি হলো যে, আমার মধ্যে দূর্বল, অবহেলিত ও মূল্যহীন লোক ব্যতীত কেউ প্রবেশ করবে না?
34- দু’টি জান্নাতের পাত্রসমূহ ও অন্যান্য জিনিস পত্র হবে রূপার তৈরি। আর দু’টি জান্নাতের পাত্রসমূহ ও অন্যান্য জিনিস পত্র হবে সোনার তৈরি। আদন নামক জান্নাতে জান্নাতীগণ ও তাদের মহান প্রভুকে দেখার মাঝে রবের চেহারার উপর বড়ত্বের চাদরের প্রতিবন্ধক ব্যতীত কিছুই থাকবে না।
35- “তোমাদের মধ্যে নিম্নতম জান্নাতীর মর্যাদা এই হবে যে, তাকে আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি কামনা-বাসনা পেশ কর, তখন সে কামনা করবে আর কামনা করতেই থাকবে। তখন তিনি বলবেন, ‘তুমি কামনা করছ? সে উত্তর দেবে, ‘হ্যাঁ।’ তিনি তাকে বলবেন, ‘তোমার জন্য সে পরিমাণ রইল যে পরিমাণ তুমি কামনা করেছ এবং তার সাথে তার অনুরূপও রইলো।”
36- জান্নাতের মধ্যে এমন একটি বৃক্ষ আছে, যার ছায়ায় কোনো আরোহী উৎকৃষ্ট, বিশেষভাবে প্রতিপালিত হালকা দেহের দ্রুতগামী ঘোড়ায় চড়ে একশো বছর চললেও তা অতিক্রম করতে সক্ষম হবে না।
37- জান্নাতে একটি বাজার হবে, যেখানে জান্নাতীগণ প্রত্যেক শুক্রবার আসবে।
38- যে কোনো মুসলিমের তিনটি নাবালক সন্তান মারা যাবে, তাকে আল্লাহ তাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহের বরকতে জান্নাত দিবেন।
39- কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার করা হবে, সে হচ্ছে এমন একজন যে শহীদ হয়েছিল। তাকে উপস্থিত করা হবে এবং আল্লাহ তার নি‘আমত রাশির কথা তাকে বলবেন এবং সে তার সবটাই চিনতে পারবে (যথারীতি তার স্বীকারোক্তিও করবে)। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, এর বিনিময়ে কী আমল করেছিলে? সে বলবে, আমি আপনারই পথে যুদ্ধ করেছি; এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি।
40- আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হঠাৎ দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বললেন, “তুমি তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও।”
41- মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি আমার পুণ্যবান বান্দাদের জন্য এমন জিনিস প্রস্তুত রেখেছি, যা কোন চক্ষু দর্শন করেনি, কোন কর্ণ শ্রবণ করেনি এবং যার সম্পর্কে কোন মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি।’ তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পার; যার অর্থ, “কেউই জানে না তার জন্য তার কৃতকর্মের বিনিময় স্বরূপ নয়ন-প্রীতিকর কী পুরস্কার লুকিয়ে রাখা হয়েছে।”
42- নিশ্চয় কবর হলো আখেরাতের মনযিলসমূহের প্রথম মনযিল। কেউ যদি এখান থেকে রেহাই পায়, তবে তার জন্য পরবর্তী মনযিলগুলো কবরের চেয়েও সহজতর হবে। আর কেউ যদি এখান থেকে রেহাই না পায়, তবে তার জন্য পরবর্তী মনযিলগুলো আরো ভয়াবহ হবে।
43- আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “যারা আমার জন্যে পরম্পরকে মহব্বত করে, আমার খাতিরে পরস্পর বসে, আমার খাতিরে পরস্পর সাক্ষাৎ করে ও আমার খাতিরে একে অপরের জন্যে খরচ করে তাদের জন্য আমার মহব্বত ও ভালবাসা ওয়াজিব হয়ে গেল।
44- আর কিছু লোককে আল্লাহ তাদের অন্তরে যে অমুখাপেক্ষিতা ও কল্যাণ রেখেছেন সে অবস্থার উপর ন্যস্ত করি। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ‘আমর ইবন তাগলিব।
45- তোমাদের পূর্বে যারা ছিলো তাদের মধ্যে এক লোক ছিলো যে নিরানব্বই জনকে হত্যা করেছিলো। সে পৃথিবীর সবচেয়ে জাননেওয়ালা ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলো। তাকে এক পাদ্রীকে দেখিয়ে দেওয়া হলো। সে তার কাছে গিয়ে বলল, সে নিরানব্বই জনকে হত্যা করেছে, তার কোনো তাওবা আছে? পাদ্রী বলল, না। তখন সে তাকেও হত্যা করলো।
46- কিয়ামতের দিন আল্লাহ প্রত্যেক মুসলিমকে একজন ইয়াহূদী অথবা খ্রিষ্টানকে দিয়ে বলবেন, এই তোমার জাহান্নাম থেকে বাঁচার মুক্তিপণ।
47- মনে রাখো, আমার রব আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন তোমাদের শিখাই যা তোমরা জানো না। আজকের এই দিনে তিনি আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন, তা হচ্ছে: যে সব মাল আমি কোন বান্দাকে দিয়েছি তা হালাল। আমি আমার সব বান্দাদের মুসলিম হিসেবে সৃষ্টি করেছি। শয়তান তাদের কাছে এসে তাদেরকে দীন থেকে বিচ্যুত করেছে এবং আমি তাদের জন্য যা হালাল করি তা সে তাদের জন্য হারাম করে দেয় এবং সে তাদের নির্দেশ দেয় যাতে তারা আমার সাথে শির্ক করে যার ওপর কোন দলীল প্রেরণ করা হয়নি।
48- বারা ইবন আযেবের হাদীসে কবরের নি‘আমত ও শাস্তির আলোচনা।
49- “আল্লাহ তা‘আলা যে ব্যক্তিকে তার দুই চোয়ালের মধ্যস্থিত অঙ্গ (জিহ্বা) ও দু’পায়ের মাঝখানের অঙ্গ (লজ্জাস্থান) এর ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখবেন, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
50- জান্নাত ও জাহান্নামের তর্ক হলো। জাহান্নাম বলল, ‘আমার মধ্যে প্রবেশ করবে উদ্ধত ও অহংকারী লোকেরা।’ আর জান্নাত বলল, ‘দুর্বল ও দরিদ্র ব্যক্তিরা আমার ভিতরে প্রবেশ করবে।’ অতঃপর তিনি জাহান্নামকে বলেন, তুমি আমার শাস্তি, তোমার দ্বারা আমি যাকে ইচ্ছা শাস্তি দিব। আর জান্নাতকে বলেন, “তুমি আমার রহমত, তোমার দ্বারা আমি যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ করব।
51- “তাঁর শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আছে, আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশী যে, জান্নাতবাসীদের অর্ধেক তোমরাই হবে। এটা এ জন্য যে, শুধুমাত্র মুসলিম প্রাণ ছাড়া অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আর মুশরিকদের তুলনায় তোমরা এরূপ, যেরূপ কালো বলদের গায়ে (একটি) সাদা লোম অথবা লাল বলদের গায়ে (একটি) কালো লোম।”
52- জান্নাতীগণ (তাদের উপরস্থ) খাসকামরার লোকগণকে এমনভাবে দেখবে, যেভাবে তোমরা আকাশের তারকা দেখে থাক।