দো‘আ ও যিকিরসমূহের ফিকহ

দো‘আ ও যিকিরসমূহের ফিকহ

4- “দুটি কালেমা জিহ্বার উপর (উচ্চারণে) খুবই হালকা, মীযানের পাল্লায় অত্যন্ত ভারী, রাহমান (পরম দয়ালু আল্লাহ) এর কাছে খুবই প্রিয়*। তা হলো: سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ (আমি আল্লাহ তা‘আলার জন্য প্রশংসা সহ তাঁর(সকল ত্রুটি থেকে) পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আমি ঘোষণা করছি মহান আল্লাহ(সকল দোষ থেকে) পূত-পবিত্র।”

37- “সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার হচ্ছে,* তুমি বলবে যে: اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي، فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ অর্থ: হে আল্লাহ, আপনিই আমার রব, আপনি ছাড়া কোনো সত্য মাবূদ নেই। আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমি আপনার বান্দা, আমি যথাসাধ্য আপনার অঙ্গীকার ও ওয়াদার ওপর আছি, আমি যা করছি তার অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট প্রার্থনা করছি। আমি আমার ওপর আপনার নি‘আমত স্বীকার করছি এবং আমি আপনার সামনে আমার পাপ স্বীকার করছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। কারণ, আপনি ব্যতীত কেউ পাপ ক্ষমা করবে না।” “তিনি বলেন, যে এই কথাগুলোর প্রতি দৃঢ় আস্থা রেখে দিনের কোনো সময় তা বলে, অতঃপর সেদিন সন্ধার আগেই সে মারা যায়, তাহলে সে জান্নাতবাসী। আর যে তার প্রতি দৃঢ় আস্থা রেখে রাতের কোনো অংশে তা বলে, অতঃপর সকাল হওয়ার আগেই সে মারা যায় তাহলে সে জান্নাতবাসী।”

49- এক বর্ষণমুখর রাতে গভীর অন্ধকারে আমাদের কে সলাত পড়ানোর উদ্দেশ্যে আমারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তালাশ করতে বের হলাম। এক স্থানে গিয়ে আমি তাঁকে পেলাম। তখন তিনি বললেন: “বল”, আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেন: “বল” আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি আমাকে বললেন: “বল”। আমি বললাম: কি বলব? তিনি বললেন:@ সকাল-সন্ধ্যায় কুল হুয়াল্লাহু আহাদ এবং মুআওওয়াযাতায়ন (কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক ও কুল আউযু বিরাব্বিন নাস) তিন বার পাঠ করবে; তবে তা সব কিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।"

61- তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন- হে আল্লাহর রসূল ! শয়তান আমার মাঝে , আমার সালাতের মাঝে ও কিরাআতের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং গোলমাল বাধিয়ে দেয় । তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “@এটা এক (প্রকারের) শয়তান— যার নাম ’খিনযিব’। যে সময় তুমি তার উপস্থিতি বুঝতে পারবে তখন (আউয়ুবিল্লাহ পড়ে) তার অনিষ্ট হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে তিনবার তোমার বাম পাশে থুথু ফেলবে*”। তিনি বলেন, তারপরে আমি তা করলাম আর আল্লাহ আমার হতে তা দূর করে দিলেন।

98- একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইইহ ওয়াসাল্লামের যুগে র্সূযগ্রহণ হল, তখন তিনি ভীত অবস্থায় উঠলনে ও কিয়ামত সংঘটিত হবার ভয় করতে লাগলেন, অবশেষে তিনি মাসজিদে আসেন ও দাঁড়িয়ে যান এবং সবচেয়ে দীর্ঘ কিয়াম ও সাজদা দ্বারা সালাত আদায় করেন। আমি কখনো তাকে তার সালাতে এরূপ করতে দেখেনি। অতঃপর তিনি বললেন, এগুলো হল নিদর্শন যা আল্লাহ্ পাঠিয়ে থাকেন, তা কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। বরং আল্লাহ্ তা‘আলা এর মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন। কাজেই যখন তোমরা এর কিছু দেখতে পাবে, তখন ভীত অবস্থায় আল্লাহর যিকির, দু‘আ ও ইস্তিগ্ফারের দিকে ধাবিত হবে।