ফিকহ ও উসূলে ফিকহ - الصفحة 2

ফিকহ ও উসূলে ফিকহ - الصفحة 2

3- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবূদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম, যাকাত আদায়, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করা ও তাদের আদেশ মান্য করা ও প্রতিটি মুসলিমের কল্যাণ কামনা করার শর্তে আমি বাই‘আত গ্রহণ করেছি।

9- اللهُمَّ أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ» [হে আল্লাহ! আমি তোমার অসন্তুষ্টি থেকে তোমার সন্তুষ্টির আশ্রয় চাই। তোমার শাস্তি থেকে তোমার শান্তি ও স্বস্তির আশ্রয় চায়। আমি তোমার নিকট তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। তোমার প্রশংসার হিসাব করা আমার সম্ভব না। তুমি নিজে তোমার যেরূপ প্রশংসা বর্ণনা করেছ, তুমি ঠিক তদ্রুপ।]

71- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন ব্যক্তিকে বড় বা ছোট সেনা দলের অধিনায়ক নিয়োগ করে পাঠানোর সময় বিশেষভাবে তার জন্য আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বনের এবং তার সহ-যোদ্ধাদের সাথে উত্তম ব্যবহারের উপদেশ দিতেন। তিনি বলতেন, “তোমরা আল্লাহর নামে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করো, যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। তোমরা জিহাদ করো, বিশ্বাসঘাতকতা করো না, চুরি করো না, কারো অঙ্গহানি বা অঙ্গ বিকৃত করো না এবং শিশুদের হত্যা করো না। যখন তুমি শত্রু পক্ষের মুশরিকদের মুখোমুখী হবে, তখন তাদেরকে তিনটি বিষয়ের প্রতি আহবান জানাবে। তারা সেগুলোর যে কোন একটির প্রতি সাড়া দিলে তুমি তাদের থেকে তা কবুল করো এবং তাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো। ১. অতঃপর তুমি তাদেরাক ইসলামের দাওয়াত দাও। তারা যদি তা কবুল করে তবে তাদের পক্ষ থেকে তা মেনে নাও এবং তাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো। অতঃপর তাদেরকে স্বদেশ ছেড়ে মুহাজিরদের দেশে চলে আসার আহবান জানাও এবং তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তারা যদি এ কাজ করে তবে যেসব সুযোগ-সুবিধা মুহাজিরগন পাবে তারাও তা পাবে এবং মুহাজিরদের উপর যেসব দায়দায়িত্ব বর্তাবে তা তাদের উপরও বর্তাবে। তারা যদি (স্বদেশ ত্যাগ করতে) অসম্মত হয় তবে তাদের জানিয়ে দাও যে, তারা বেদুইন মুসলমানদের সমান মর্যাদা পাবে, তাদের উপর আল্লাহর সেই সব হুকুম জারি হবে যা মুমিন মুসলমানদের উপর জারী হয় এবং তারা গনীমত ও ফাই-এর কিছুই পাবে না, তবে যদি তারা মুসলমানদের সাথে মিলে জিহাদ করে। ২. তারা যদি ইসলামে দাখিল হতে অস্বীকার করে তবে তাদেরকে জিযয়া দিতে বলো। তারা যদি তা দেয় তবে তাদের নিকট থেকে তা গ্রহণ করো এবং তাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো। ৩. তারা যদি জিযয়া দিতেও অস্বীকার করে, তবে তুমি তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। আর তুমি কোন দুর্গ অবরোধ করলে পর তারা তোমার নিকট আল্লাহর যিম্মাদারি এবং তোমার নবীর যিম্মাদারি লাভের আশা করলে তুমি তাদের জন্য আল্লাহর যিম্মাদারি এবং তোমার নবীর যিম্মাদারি দান করবে না, তবে তোমার নিজের জিম্মাদারী ও তোমার সাথীদের জিম্মাদারী দান করো। কারণ, তোমাদের নিজেদের ও তোমাদের সাথীদের যিম্মাদারি ভঙ্গ করা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের যিম্মাদারি ভঙ্গ করার চেয়ে তোমাদের জন্য অধিকতর সহজ। আর তুমি কোন দূর্গ অবরোধ করলে পর তারা তোমার নিকট আল্লাহর হুকুম মানতে চাইলে তুমি তাদেরকে আল্লাহর হুকুমের ওপর রাখবে না, বরং তোমার হুকুম মানতে বাধ্য করো, কারণ তুমি জান না তাদের ব্যাপারে তুমি আল্লাহর হুকুম সঠিকভাবে জানতে পারবে কি পারবে না।

81- “যে ব্যাক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনে বলবে: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসুল। আমি সন্তুষ্ট আল্লাহকে রব হিসেবে পেয়ে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল হিসেবে পেয়ে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে।” তার গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।