সালাত
33- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত তাঁর উভয় হতের মধ্যে রেখে আমাকে এমনভাবে তাশাহহুদ শিখিয়েছেন, যেভাবে তিনি আমাকে কুরআনের সূরা শিখাতেন*,তা হলো :
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ الله وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا
وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا الله وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
“সকল বড়ত্ব ও প্রশংসা,সালাতসমূহ:এমনকি সকল মৌখিক, দৈহিক,আর্থিক ও অন্তর্গত ‘ইবাদত এবং সকল পবিত্রতা-উত্তমতা আল্লাহরই জন্য। হে নবী ! আপনার উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে সবধরনের নিরাপত্তা, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।বর্ষিত হোক সকল বিপদ থেকে নিরাপত্তা-সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোনো মা‘বূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।
অপর বর্ণনায় বর্ণিত,
«إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلَامُ، فَإِذَا قَعَدَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلْيَقُلْ: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ، فَإِذَا قَالَهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، ثُمَّ يَتَخَيَّرُ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ».
আল্লাহর নামই হলো সালাম। সকল বড়ত্ব-প্রশংসা,সালাতসমূহ:এমনকি সকল মৌখিক, দৈহিক,আর্থিক ও অন্তর্গত ‘ইবাদত এবং সকল পবিত্র-উত্তম আল্লাহরই জন্য। হে নবী! আপনার উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে সবধরনের নিরাপত্তা, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।সকল বিপদ থেকে নিরাপত্তা-সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।” যখন সে একথাগুলো বলে তখন তা আসমানে ও জমিনের আল্লাহর প্রতিটি নেক বান্দার কাছে পৌঁছে যায়। (পরে সে বলবে:) “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন প্রকৃত ইলাহ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।” এরপর তার যা মন চায় দু’আ করবে।
50- “পরুষের জামা‘আতের সঙ্গে সালাত পড়ার নেকী, তার বাজারে ও বাড়িতে সালাত আদায়ের চেয়ে বিশেরও বেশি গুণ নেকী।* তার ধরন, যখন কোনো ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসে এবং সালাতই তাকে মসজিদে নিয়ে যায়, তখন তার মসজিদে প্রবেশ করা পর্যন্ত প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি মর্যাদা উন্নত হয় ও একটি পাপ মোচন করা হয়। অতঃপর যখন সে মসজিদে প্রবেশ করে, যে পর্যন্ত সালাত তাকে (মসজিদে) আটকে রাখে, তখন পর্যন্ত সে যেন সালাতের মধ্যেই থাকে। আর ফিরিশতারা তোমাদের সেই ব্যক্তির জন্য সে পর্যন্ত রহমতের দো‘আ করতে থাকেন -যে পর্যন্ত সে ঐ স্থানে বসে থাকে, যে স্থানে সে সালাত আদায় করেছে। তারা বলেন, ‘হে আল্লাহ! এর প্রতি দয়া কর, হে আল্লাহ! একে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ! এর তাওবাহ কবুল কর।’ (ফিরিশতাদের এই দো‘আ সে পর্যন্ত চলতে থাকে) যে পর্যন্ত সেখানে কাউকে সে কষ্ট না দেয়, যে পর্যন্ত সেখানে সে ওযু না ভাঙ্গে ।”