আকীদা

আকীদা

26- আল্লাহ ভাল-মন্দ লিখে দিয়েছেন। এরপর সেগুলোকে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন সৎ কাজের ইচ্ছা করল; কিন্তু তা বাস্তবে করল না, আল্লাহ তাঁর কাছে এর জন্য পূর্ণ একটি সাওয়াব লিখবেন। আর সে ভাল কাজের ইচ্ছা করল এবং তা বাস্তবেও সম্পাদন করল, আল্লাহ তাঁর কাছে ঐ ব্যক্তির জন্য দশ গুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত, এমন কি এর চেয়ে বহুগুণ সাওযাব লিখে দেন। আর যে কোন মন্দ কাজের ইচ্ছা করল; কিন্তু তা বাস্তবায়ন করল না, আল্লাহ তাঁর কাছে তার জন্য পূর্ণ সাওয়াব লিখবেন। আর যদি সে মন্দ কাজের ইচ্ছা করার পর বাস্তবেও তা করে, তবে তার জন্য আল্লাহ মাত্র একটা গুনাহ লিখবেন।”

28- ইসলাম হলো, তুমি এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো (প্রকৃত) মাবূদ নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, রমাযানের সাওম পালন করবে এবং বাইতুল্লাহতে পৌঁছার সামর্থ্য থাকলে হজ পালন করবে

56- “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন অন্যায় কাজ দেখতে পাবে, সে যেন উক্ত অন্যায়কে তার হাত দিয়ে পরিবর্তন করে। যদি সে তা করতে সক্ষম না হয়, তবে সে যেন তার জিহ্বা (ভাষা) দ্বারা তা পরিবর্তন করে। যদি সে তাতেও সক্ষম না হয়, তবে সে যেন তার অন্তর দিয়ে [চেষ্টা করে এবং ঘৃণা করে]। আর এটিই হচ্ছে ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর।”

67- আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতি এবং (আমীরের) কথা শোনা ও তার আনুগত্য করার উপদেশ দিচ্ছি; যদিও তোমাদের উপর কোন নিগ্রো দাস আমীর হয়। (স্মরণ রাখ) তোমাদের মধ্যে যে আমার পর জীবিত থাকবে, সে অনেক মতভেদ বা অনৈক্য দেখবে। সুতরাং তোমরা আমার সুন্নাত ও সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের রীতিকে আঁকড়ে ধর এবং তা মাড়ির দাঁত দিয়ে মজবুত করে ধর।

85- الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، -ثلاثًا-»، وَمَا مِنَّا إِلَّا، وَلَكِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّلِ ‘ শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক।শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক। শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক।” একথা তিনি তিনবার বললেন। (বর্ণনাকারী বলেন) এমন কিছু আমাদের অনেকের মনে সৃষ্টি হতেই পারে, তবে তা মহান আল্লাহ তাঁর প্রতি তাওয়াক্কুল-ভরসা দ্বারা দূর করে দিবেন।’